পুরুষের লাশ হইলে একখানা খাট বা তক্তার উপরে প্রথমে চাদর তারপর ক্রমান্বয়ে ইযার ও পিরহান বিছাইবে। তারপর কাফনের উপরে লাশ শোয়াইয়া উহার নাক, ললাট ও ছিনা ইত্যাদি স্থানে কিছু খুশবু লাগইয়া প্রথমে পিরহান লেপটাইবে। এই ভাবে চাঁদরও লেপটাইয়া দিবে।
স্ত্রীলোকের লাশ হইলে প্রথমে ছিনাবন্দ বিছাইবে তারপর ক্রমান্বয়ে লেফাফা, ইযার ও পিরহান বিছাইবে। তারপর লাশ শয়ন করাইয়া পুরুষের ন্যায় খুশবু লাগাইয়া প্রথমে পিরহান পরাইবে। তারপর মাথার চুল দুই ভাগ করিয়া কাঁধের দুই দিক দিয়া আনিয়া বুকের উপর রাখিবে এবং ওড়না মাথায় জড়াইয়া উহা দ্বারা ছিনার উপরের চুলও ঢাকিয়া দিবে। তারপর প্রথমে বামদিক হইতে এবং পরে ডান দিক হইতে ক্রমান্বয়ে ইযার, লেফাফা ও ছিনাবন্দ পরাইয়া দিবে। কাফন পরান হইয়া গেলে একটু পেঁচাইয়া মাথার উপরে ও পায়ের নীচে নেকড়া কিংবা সূতা দ্বারা হালকাভাবে বাঁধিয়া দিবে।
কাফন পরাইয়া তাহার উপরে কিছু আতর বা অন্য কোন সুঘ্রাণ জাতীয় জিনিস মাখিয়া দিবে। ধর্মযুদ্ধে শহীদ ব্যক্তিকে যেমন গোসল কারাইবার দরকার হয় না, তেমন তাহাদের কাফন পরানোর প্রয়োজন হয় না, বরং তাহাদের পরিহিত রক্তমাখা কাপড়েই তাহাদিগকে দাফন করিবে। লাশ দাফন করিবার পর যদি কবর হইতে কোন জন্তু উহা বাহির করিয়া ফেলে বা অন্য কোন ভাবে বাহির হইয়া পড়ে এবং দেখা যায় যে, লাশের কাপড় বিনষ্ট বা অপহৃত হইয়াছে, তখন লাশ পঁচিয়া গলিয়া গিয়া না থাকলে আবার নতুন ভাবে কাফন পরাইয়া দিবে। আর যদি ইহা পঁচিয়া গলিয়া যাইয়া থাকে তবে একখানা কাপড় দ্বারা পেঁচাইয়া দিবে।
Posted inজানাযার নামায