মীক্বাতের বর্ণনা

মীক্বাত মূলতঃ নির্ধারিত সময় বা নির্ধারিত স্থানকে বলা হয়। এ কারণে মীক্বাতকে দু ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. মীক্বাতে যামানীঃ যা শাওয়াল, জিলক্বদ এবং জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিন পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত। হজ্বের জন্য এ সময়সীমা নির্ধারণ মুসলিম উম্মাহর জন্য এক মহান নি’মাত। এটা দ্বারা জীবনের সামগ্রিক ক্ষেত্রে যে  কোন শুভ ও পবিত্র অনুষ্ঠানাদি তথা বিয়ে-শাদী, ফাতেহা, উরস, জলসা ইত্যাদি সুষ্ঠুভাবে সামাধানার্থে দিন ও সময় নির্ধারণের বৈধতা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়।
২. মীক্বাতে মাকানীঃ ওই সমস্ত স্থান যেখান থেকে ইহরাম পরিধান করা ওয়াজিব। এটা তিন প্রকার।
ক. মীক্বাত-ই আহলে আফাক্বের, যা নির্ধারিত মিক্বাতের সীমানার বাইরের হাজ্বীদের জন্য নির্ধারিত স্থান।
খ. মীক্বাত-ই আহলে হিল। যারা হেরেমের বাইরে কিন্তু মীকাতের অভ্যন্তরে বসবাস করে সেসমস্ত হজ্জ যাত্রীদের মীক্বাত হচ্ছে পুরো হিল। তাঁরা এ হিলের যে কোন স্থান থেকে ইহরাম বেঁধে হেরমে প্রবেশ করতে পারে।
গ. মীক্বাত-ই আহলে হেরম। অর্থাৎ ওই সকল লোকের জন্য নির্ধারিত মীক্বাত যারা মক্কা মুকাররমার হেরেম এলাকায় বসবাস করে। তারা হেরমের অভ্যন্তরে যে কোন স্থান থেকে হজ্জের ইহরাম বাঁধবে।
মীকাতে আ-ফাক্বী বা বহিরাগত হাজীদের মীকাতের বর্ণনা
ক. মদীনা মুনাওয়ারার অধিবাসীদের জন্য মীক্বাত ‘যুল হুলাইফা’ যা মদীনা শরীফ থেকে দক্ষিনে ছয় মাইল দুরত্বে অবস্থিত। বর্তমানে তা বী’র আলী নামে পরিচিত।
খ. ইরাকের দিক থেকে হজ্ব যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত মীক্বাত ‘যাতে ইরক্ব’।
গ. সিরিয়া ও মিসরের দিক থেকে আগমনকারী হাজীদের জন্য ‘জুহফাহ’ এবং
ঘ. বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও পূর্বঞ্চলীয় দেশ সমূহ থেকে হজ্ব গমনেচ্ছু হাজীদের জন্য মীক্বাত হচ্ছে ‘ইয়ালামলাম’।
স্থলপথে বা এতদঞ্চল থেকে নৌপথে হজ্জ যাত্রীদের জন্য এখান থেকে অবশ্যই ইহরাম পরিধান করতে হবে। তবে আকাশ পথে হজ্জ যাত্রীরা বর্তমানে সাধারণত বিমানে আরোহনের পূর্বে ইহরাম পরিধান করে নেয়। এটাই নিরাপদ। অবশ্য নৌযান ও বিমানে মীক্বাত পার হবার পূর্বক্ষণে সংকেত দেওয়া হয়। তখন যারা আরোহণের পূর্বে ইহরাম করেন না, তাঁরা এখানেও ইহরাম করতে পারেন।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply