রাসুল (দুঃ) জান্নাতের গ্যারান্টি দিবেন

হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেন: আমাকে ছয় বিষয়ের গ্যারান্টি দাও, আমি তোমাদের জন্যে জান্নাতের গ্যারান্টি নেবো।
১। সব সময় সত্য বলবে
২। যথা সম্ভব ওয়াদা পূরণ করবে
৩। আমানতে খেয়ানত করবে না
৪। লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে
৫। দৃষ্টি নীচের দিকে রাখবে
৬। জুলুম থেকে হাতকে বিরত রাখবে।
সত্যবাদীতা, ওয়াদা পালন ও আমানত রক্ষা এ তিনটির সম্পর্ক আল্লাহ্ ও বান্দাহ উভয়ের মাঝে বিদ্যমান। আল্লাহ্ সম্পর্কে সত্য বলার অর্থ এই যে, তাঁর তাওহীদ (একত্ব) স্বীকার করবে, অন্তরের সততায় কালেমা পড়বে, আর বান্দাহ সম্পর্কে সত্য-মিথ্যার ব্যাপার তো একেবারে প্রকাশ্য যে, অবাস্তব কথা বলাই মিথ্যা, যা কোন ক্রমেই জায়েজ নেই।
অনুরূপভাবে মানুষ যে রোজে আযলে আল্লাহ্ পাকের সামনে তাঁর ‘রব’ হওয়ার ব্যাপারে স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং আনুগত্য করার ওয়াদা করেছিল, সেটা পালন করা জরুরী ও ফরজ।
আর বান্দাহ মানুষের সাথে যে ওয়াদা করে তাকে , তা যথা সম্ভব পুরা করা একান্ত জরুরী।

আমানত রক্ষা, ঈমান আনা আর সে সব হুকুম ও ফরজ যা আল্লাহ্ পাক মানুষকে পালন করার জন্যে আদেশ করেছেন, তা সবই আমানত।

অনুরূপভাবে যদি কোন মানুষ অন্য কোন মানুষকে হেফাজত করার জন্যে কোন কিছু দেয়, অথবা কোন গোপন কথা বলে, তাহলে তাও আমাত। সুতরাং উভয়টির হেফাজত করা বান্দাহর উপর জরুরী।

লজ্জাস্থানের হেফাজত করা : এটার দু’টি পদ্ধতি আছে। ১। লজ্জাস্থানকে নাজায়েজ (অবৈধ) স্থানে ব্যবহার (হারাম কাজ) করা থেকে সম্পূর্ণ রূপে বিরত রাখবে। ২। নিজের দেহের প্রতি খেয়াল রাখবে যে, এতে যেন কারো দৃষ্টি না পড়ে, কারণ এটাও হারাম।
অন্যের সতর যে দেখে এবং নিজের সতর অন্যকে যে দেখায়, উভয়ের উপর আল্লাহ্’র লানত। (এ হুকুম তার জন্যেই, যাকে দেখা হারাম, স্বামী-স্ত্রী এ হুকুম থেকে পৃথক।
পুরুষের নাভী থেকে হাটু পরযন্ত এবং স্ত্রী লোকের হাত, পা ও মুখ মন্ডল ছাড়া সমস্ত শরীর সতর (আবৃত রাখা ফরজ)। নিতান্তই অপারগতা ও কঠিন প্রয়োজন ব্যাতীরেকে এ অংশ দেখা বা দেখানো জায়েজ নেই।

চক্ষু সংযত : (দৃষ্টি নীচে) রাখও জরুরী, যাতে কারো সতরের উপর বা কোন গায়রে মুহাররামের উপর দৃষ্টি না পড়ে।

অনুরূপ দুনিয়ার জিনিসের প্রতিও যেন না পড়ে, যাতে দুনিয়ার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি এবং আখেরাতের প্রতি অমনোযোগী হওয়ার খুব বেশী সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়ে যায়।

হাত বিরত রাখা : হারাম মাল উপার্যন করা এবং মানুষের উপর জুলুম ও বাড়াবাড়ি করা থেকে বিরত থাকা চাই।

কোন তাবেয়ী হযরত বলেন যে, সত্যবাদীতা আওলিয়ায়ে কেরামের শোভা, সৌন্দর্য, আর মিথ্যা বদবখতদের আলামত ও লক্ষণ।

সুত্র: তাম্বীহুল গাফেলীন

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply