প্রত্যেক মু’মিন ব্যক্তিকে জোর চেষ্টা করে নিজের মধ্যে ছয়টি গুণ অবশ্যই সৃষ্টি করা উচিৎ, যাতে সে দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা লাভ করতে পারে।
১। দ্বীন শিক্ষা অর্জন, যাতে ভাল-মন্দ পার্থক্য করার যোগ্যতা অর্জিত হয়।
২। এমন বন্ধু বা সাথীর নির্বাচন, যে সাথী সৎ কাজের উপদেশ দেয় এবং মন্দ কাজে বাধা দেয়। (পক্ষান্তরে এমন ব্যক্তিই বন্ধু হইবার যোগ্য)।
৩। শত্রু চিহ্নিত করণ, (যাতে ওর অনিষ্টতা থেকে বাঁচতে পারে, সবচে বড় দুশমন হলো শয়তান ও নিজর কৃপ্রবৃত্তি)।
৪। চিন্তা-ফিকির করার যোগ্যতা অর্জন, যাতে আল্লাহ্ পাকের নিদর্শনাদি দেখে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
৫। সৃষ্টি জগতের সাথে ইনসাফ ভিত্তিক আচরণ, যাতে কিয়ামত দিবসে কেউ দুশমন না হয়, কেউ যেন কোন হক্ব দাবী কারিতে না পারে।
৬। মরনের পূর্বে মরণের প্রস্ততি গ্রহণ, যাতে যাইবার কালীন খালী হাতে এবং পরিতাপের তালু ঘসতে ঘসতে না যেতে হয়। তাই এরশাদ হয়েছে –
تَزَوَّدُوْا فَاِنَّ خَيْرَ الزَّادُ التَّقْوَى
অর্থাৎ “পাথেয় গ্রহণ কর, আর উত্তম পাথেয় হলো তাওক্বওয়া”।
মানুষের নিজস্ব সম্পদ
একবার হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ছূরা তাকাছুরের আয়াত
_اَلْهَكُمُ التَّكَا ثُرُحَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَا بِرَ
“প্রাচুর্যের লোভ তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন করে রাখে, এমন কি, তোমরা কবরস্থানে চলে যাও”।
এ আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এরশাদ করেছেন- মানুষ বলে আমার মাল, আমার সম্পদ, কিন্তু তার মাল কোথায়? তবে এতটুকু, সে যা খেয়ে খতম করেছে এবং পরিধান করে ছিঁড়েছে আর যা দান-খয়রাত করে আল্লাহর কাছে জমা করে দিয়েছে।