হজ্জের বিধানাবলীর মধ্যে সবচেয়ে বড় রুকন (ফরয) হচ্ছে আরফাতে অবস্থান করা। এতে হায়য-সম্পন্না, জুনুবী ও নিফাস সম্পন্না মহিলা সবার জন্য শামিল হওয়ার অনুমতি রয়েছে। ২য় ফরয হচ্ছে তাওয়াফে যিয়ারত। কোন মহিলা তাওয়াফে যিয়ারত পর্যন্ত হায়য-নিফাস সম্পন্না থাকলে তার অপেক্ষা করা উচিত। যেহেতু তাওয়াফ মসজিদেই হয়। আর এ ধরনের অপবিত্রাবস্থায় মসজিদে প্রবেশের অনুমতি নেই। অপেক্ষা করতে করতে তাওয়াফের সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও ক্ষতি নেই। পরেও তাওয়াফ করা যাবে এবং এ বিলম্বের জন্য দম দিতে হবে না। হ্যাঁ কোন পুরুষ যদি এ সময়ের অভ্যন্তরে তাওয়াফ না করে তবে তাকে দম দিতে হবে।
কোন মহিলা ইহরাম কিংবা ওয়াকূফে আরাফার সময় হায়য সম্পন্না হয়ে গেলে সে পুনরায় গোসল করে ইহরাম পড়বে আর তাওয়াফ ছাড়া হজ্জের সকল কাজ রীতিমত সম্পন্ন করবে।
তাওয়াফে যিয়ারত করা অবস্থায় কোন মহিলা হায়য সম্পন্ন বা অসুস্থ হয়ে গেলে এবং এ অবস্থায় যদি তাওয়াফের নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হয়ে যায় তাহলে এর পরে তাওয়াফ করবে। এর জন্য কোন দম দিতে হবে না। তাওয়াফে বিদার সময় হায়য প্রকাশ পেলে বা অসুস্থ হয়ে গেলে এবং ঘরে ফিরে যেতে বাধ্য হয়ে পড়লে তাওয়াফে বিদা পুনরায় করার প্রয়োজন নেই। অবশ্য পুরুষদের জন্য ওয়াজিব। উল্লেখ্য যে সকল কারণে পুরুষের হজ্জ ভঙ্গ হয়ে যায়। সেসব কারণে মহিলাদের হজ্জ ভেঙ্গে যায়।
ইহরাম অবস্থায় মহিলাদের জন্য সেলাই করা পোশাক, রঙ্গিন কাপড়, রেশমি কাপড়, হাত-পায়ের মোজা, কামিজ, ওড়না, অলঙ্কার ইত্যাদি পড়া জায়েয তবে খুশবু ব্যবহার করা বৈধ নয়।
মহিলাগণ ইহরামে মাথা ঢাকবেন, চেহারা নয় তালবিয়্যাহ এত নিম্নস্বরে বলবে যাতে নিজে শুনতে পায়, অপর কেউ শুনতে না পায়। মহিলাগণ তাওয়াফে রামাল ও ইদ্বতিবা করবে না। হাজরে আসওয়াদকে ভিড় ঠেলে চুম্বনের প্রয়োজন নেই। তাদের জন্য ইস্তিলাম বা দূর থেকে হাতে ইঙ্গিত করা যথেষ্ট। মক্বামে ইব্রাহীমের নামাযও সুযোগ পেলে পড়বে অন্যথায় মসজিদুল হারামের যে কোন জায়গায় পড়ে নিতে পারবে। সা’ঈ করার সময় মহিলাগণ দু’ সবুজ স্তম্ভের সধ্যখানে দৌঁড়াবে না। সাফা-মারওয়ার উপরেও লোকের ভিড় ঠেলে আরোহন করার প্রয়োজন নেই। ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার সময় মহিলাগন এক আঙ্গুলের অগ্রভাগ পরিমাণ চুল কাটবেন। মাথা মুন্ডানো মহিলাদের জন্য বৈধ নয়। উল্লেখ্য যে মহিলাদের জন্য নিজ স্বামী কিংবা মুহরিম (যার সাথে বিবাহ হারাম) ব্যতীত হজ্জ করা হারাম।
Posted inহজ্ব / ওমরাহ