নবীগণ নিষ্পাপ (হাদীছসমূহ দ্বারা প্রমান)

(১) মিশকাত শরীফের الوسوسة অধ্যায়ে বর্ণিত আছে যে, প্রত্যেক ব্যক্তির সাথে একজন শয়তান অবস্থান করে, যাকে ‘করীন’ বলা হয়। কিন্তু আমার (হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) করীন মুসলমান হয়ে গেছে। সে আমাকে সুপরামর্শই দিয়ে থাকে।

(২) একই অধ্যায়ে, আরও বর্ণিত আছে যে, প্রত্যেক শিশুকে জন্মের সময় শয়তান মারে। কিন্তু হযরত ঈসা (আঃ) এর জন্মের সময় শয়তান ছুঁতেও পারেনি। এ হাদীছদ্বয় থেকে জানা গেল যে উল্লেখিত নবীদ্বয় শয়তানের প্ররোচনা থেকে মুক্ত।
(৩) মিশকাত শরীফের কিতাবুল গোসল থেকে জানা যায় যে, নবীদের স্বপ্নদোষ হয় না। কেননা এতে শয়তানী প্রভাব রয়েছে। এমনকি তাদের স্ত্রীগণও স্বপ্নদোষ থেকে পরিত্রাণ প্রাপ্ত।
(৪) নবীগণের হাই আসে না। এতেও শয়তানী প্রভাব রয়েছে। এ জন্য তখন ‘লা হওলা’ বলা হয়।
(৫) মিশকাত শরীফের ‘আলামাতে নবুয়াত’ শীর্ষক অধ্যায়ে বর্ণিত আছে- (হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বক্ষ বিদীর্ণ করে এক টুকরা মাংশ বের করে ফেলে দেয়া হয় এবং বলা হয় যে, সেটা শয়তানী অংশ। অতঃপর তা যম্ যম্ কুপের পানি দিয়ে ধুয়ে দেয়া হয়। এতে বোঝা গেল (হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আত্মা শয়তানী প্রভাব থেকে পবিত্র।
(৬) মিশকাত শরীফের مناقب عمر শীর্ষক অধ্যায়ে বর্ণিত আছে- হযরত উমর (রাঃ) যে রাস্তা দিয়ে গমন করেন, তথা হতে শয়তান পালিয়ে যায়। এতে বোঝা গেল, যাঁর প্রতি নবীদের সুদৃষ্টি রয়েছে, তিনিও শয়তান থেকে নিরাপদ থাকেন। তাই নবীদের প্রশ্নই আসে না। -সুত্রঃ জা’আল হক ২য় খন্ড-

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply