নবী (দঃ) কে মানুষ কিংবা ভাই বলে আখ্যায়িত করা হারাম

নবী মানব জাতীর মধ্যে আবির্ভূত হয়ে থাকেন, আর মানবই হন; জ্বিন কিংবা ফিরিশতা নন। এটি হচ্ছে পার্থিব বিধি-বিধান অনুযায়ী। কেননা মনুষ্য সৃষ্টির সূচনা হয় হযরত আদম (আ:) থেকে- তিনিই হলেন…

রাসুল (দঃ) কে ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ’ বলে আহবান করা জায়েয

হুযুর (আলাইহিস সালাম) কে দূর বা কাছ থেকে আহবান করা বৈধ- তাঁর পবিত্র ইহ-লৌকিক জীবনে ও তাঁর ওফাতের পরেও। তাই একজন ইয়া রাসুলাল্লাহ’ বলে আহবান করুক, কিংবা এক দলের সবাই…

তাকলীদের অর্থ ও প্রকারভেদ

তাকলীদের দুটো অর্থ আছে একটি আভিধানিক, অপরটি পারিভাষিক বা শরীয়তে ব্যবহৃত। তাকলীদের আভিধানিক অর্থ হলো গলায় বেষ্টনী বা হার লাগানো। শরীয়তের পরিভাষায় তাকলীদ হলো কারো উক্তি বা কর্মকে নিজের জন্য…

যুক্তিও বলে যে নবীগণ কুফরী ও পাপ থেকে সদা পবিত্র।

(১) কুফরী, হয়তো আকায়েদ সম্পর্কে অজ্ঞতা, কিংবা আত্মার অবাধ্যতা অথবা শয়তানের কুমন্ত্রণায় প্রকাশ পায়। কিন্তু আমি প্রথম অধ্যায়ে প্রমাণ করেছি যে, নবীগণ আল্লাহ ওয়ালা হয়েই জন্ম গ্রহণ করেন, অধিকন্তু তাদের…

নবীগণ নিষ্পাপ (উলামায়ে উম্মতের উক্তিসমূহ)

নবীগণ যে নিষ্পাপ, এ ব্যাপারে সবসময় উম্মতে মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মধ্যে ঐক্যমত রয়েছে। শয়তানী দল ছাড়া কেউ এটা অস্বীকার করে না। যেমন শরহে আকায়েদে নসফী, শরহে ফিকহ আকবর,…

নবীগণ নিষ্পাপ (হাদীছসমূহ দ্বারা প্রমান)

(১) মিশকাত শরীফের الوسوسة অধ্যায়ে বর্ণিত আছে যে, প্রত্যেক ব্যক্তির সাথে একজন শয়তান অবস্থান করে, যাকে ‘করীন’ বলা হয়। কিন্তু আমার (হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) করীন মুসলমান হয়ে গেছে। সে আমাকে সুপরামর্শই দিয়ে…

নবীগণ নিষ্পাপ (কুরআনী আয়াতসমূহ দ্বারা প্রমান)

নবীগণ যে নিষ্পাপ, তা কুরআনের বিভিন্ন আয়াত, বিশুদ্ধ হাদীছসমূহ, উম্মতের ঐক্যমত ও আকলী দলীলসমূহ দ্বারা প্রমাণিত আছে। একমাত্র সে অস্বীকার করতে পারে, যে মন মানসিকতার দিক দিয়ে অন্ধ। কুরআনী আয়াতসমূহ : (১) আল্লাহতা’আলা…

আঙ্গুলী চুম্বনের প্রমাণ

মুয়ায্যিন আযান দেয়ার সময় যখন ‘আশহাদুআন্না মুহাম্মদার রাসুলুল্লাহ’  اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ  উচ্চারণ করে, তখন নিজের বৃদ্ধাঙ্গুরীদ্বয় বা শাহাদতের আঙ্গুল চুম্বন করে চুক্ষদ্বয়ে লাগানো মুস্তাহাব এবং এতে দীন-দুনিয়া উভয় জাহানের…

মীলাদ শরীফে কিয়ামের প্রমাণ ১

কিয়াম অর্থাৎ দন্ডায়মান হওয়া ছয় প্রকার- জায়েয, ফরয, সুন্নাত, মুস্তাহাব, মাকরূহ ও হারাম। প্রত্যেক প্রকারের কিয়ামকে সনাক্ত করার নিয়ম আমি বাতলে দিচ্ছি, যার ফলে সহজেই বোঝা যাবে এ কিয়াম কি ধরণের। (১) পার্থিব প্রয়োজনে…

বিদআত ২ (প্রকারভেদ)

ইতিপূর্বে জানা গেছে যে, বিদআত দু’রকম- বিদআতে হাসানা ও বিদআতে সাইয়া। এখন স্মরণ রাখতে হবে যে, বিদআতে হাসানা তিন প্রকার- জায়েয, মুস্তাহাব ও ওয়াজিব এবং বিদআতে সাইয়া দু’রকম- মাকরূহ ও হারাম। এ প্রকারভেদের প্রমাণ দেখুন । মিরকাত…